ইমরান আয়্যুব লাহোরি (হাফি) এর লিখিত ফিকহুল হাদিসের অনুবাদ
আভিধানিক অর্থ –
سهو ভুলে যাওয়া বা কোন বিষয়ে অমনোযোগী হওয়া বা অন্য দিকে মন চলে যাওয়া অর্থে ব্যবহিত হয় ।
ইবনে হাজার (রঃ) বলেন – سهو কোন বিষয়ে অমনোযোগী হওয়া এবং অন্য মনস্ক হয়ে যাওয়া কে বলা হয় , এবং কেহ কেহ سهو আর نسيان এর মধ্যে পার্থক্য করেছেন যা কোন গুরুত্ব রাখে না ।
আল্লামা আঈনী (রঃ) বলেন – উভয়ের মধ্যে সুনির্দিষ্ট পার্থক্য আছে আর তাহলো – سهو তে মানুষের চেতনা সম্পুরনভাবে হারিয়ে যায় কিন্তু نسيان এ কিছু চেতনা অবশিষ্ট থাকে ।
ঈদে মিলাদুন্নবী এর বৈধতা প্রমান করার জন্য বর্তমানে অনেকেই ইবনে হাজার হাইছামী (রঃ) এর নামে রচিত একটি জাল বইয়ের রেফারেন্স দেন । বইটি এবং যা তার মধ্যে রয়েছে সবই জাল ।
বইটির নাম النعمة الكبرى على العالم في مولد سيد ولد آدم
হাইছামী (রঃ) এর নামে জালকৃত বই এবং বইয়ের জাল হাদিসগুলোর বিষয়ে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ) তার ‘হাদিসের নামে জালিয়াতি1 বইয়ে লিখেন , , –
হিজরী দশম শতকের প্রসিদ্ধ আলিম ইবন হাজার হাইতামী মাক্কী (৮৯৯-৯৭৪/১৪৯৪-১৫৬৬ হি)-এর নামে তুরস্কের মাকতাবাতুল হাকীকাহ নামক একটি প্রকাশনা সংস্থা গত ১৯৯৩ খৃ (১৪১৪ হি) ‘‘আন-নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়িদি ওয়ালাদি আদাম’’ (বিশ্বের উপর শ্রেষ্ঠ নিয়ামত আদম সন্তানদের নেতার জন্মের মধ্যে) নামে একটি বই প্রকাশ করেছে। এ বইটির মধ্যে মীলাদের পক্ষে সাহাবীগণের নামে অনেকগুলো সনদ বিহীন জাল হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে। এ জাল বইটির প্রথম অধ্যায় নিম্নরূপ:
কত বরকতময় আপনার রবের নাম যিনি মহিমাময় ও মহানুভব (আর রাহমান ৭৮)
আবুল মালীহ (রহঃ) হতে এক ব্যক্তির সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জন্তুযানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে বসা ছিলাম। হঠাৎ তাঁর সাওয়ারী হোঁচট খেলে আমি বললাম, শয়তান ধ্বংস হয়েছে। তিনি বললেন, একথা বলো না যে, শয়তান ধ্বংস হয়েছে। কেননা তুমি একথা বললে সে অহংকারে ঘরের মতো বড় আকৃতির হয়ে যাবে এবং সে বলবে, আমার ক্ষমতায় হয়েছে। অতএব বলো, আল্লাহর নামে। যখন তুমি ’আল্লাহর নামে’ বলবে তখন শয়তান হ্রাসপ্রাপ্ত হয়ে মাছির মত হয়ে যাবে (আবু দাউদ ৪৯৮২)