Salafi BD

সুন্নাহর দিকে, সালাফদের পথে

"Akash" s Posts

মুরজিয়াহ বনাম আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআত

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ

মুরজিয়াহ বনাম আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআত

মূল: আল্লামা ইউসুফ গোন্দাল্বি (রহঃ)
উৎস: দাস্তানে হানাফিয়াহ


মুরজিয়াহদের নিকট ঈমানের সংজ্ঞা

হযরত ফুদাইল ইবনে ইয়াদ (রহঃ) বলেন:

“إِنَّ أَهْلَ الْإِرْجَاءِ يَقُولُونَ: إِنَّ الْإِيمَانَ قَوْلٌ بِلَا عَمِلٍ”

অর্থ: মুরজিয়ারা বলে ঈমান হচ্ছে শুধু ক্বওল (মৌখিক স্বীকৃতি), আমল তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়।

মাওলানা খলিল আহমদ সাহারানপুরী (রহঃ) বলেন : মুরজিয়াহ হচ্ছে তারা যারা আমল কে (ঈমান থেকে) আলাদা রাখেন অথবা এই আশা রাখেন যে ঈমানের সাথে গুনাহ ও অন্যায় কোনো ক্ষতি করে না । । সুতরাং মূর্জিয়াদের চিন্তায় সিদ্দিকগণের ঈমান ও অন্য লোকের ঈমান সমান।

নামাজে পায়ের উপরে পা তুলে বসা

নামাজে পায়ের উপরে পা তুলে বসা (বৈধ কারণে)

عن عائشة رضي الله عنها قالت: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مُتَرَبِّعًا

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পায়ের উপর পা দিয়ে বসে সালাত আদায় করতে দেখেছি (নাসাঈ ১৬৬১ - সহীহ)


উমর (রা:) এর পায়ের উপর পা রেখে বসা

كَانَ يَرَى عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ يَتَرَبَّعُ فِي الصَّلَاةِ إِذَا جَلَسَ، فَفَعَلْتُهُ وَأَنَا يَوْمَئِذٍ حَدِيثُ السِّنِّ، فَنَهَانِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَقَالَ إِنَّما سُنَّةُ الصَّلَاةِ أَنْ تَنْصِبَ رِجْلَكَ الْيُمْنَى وَتَثْنِيَ الْيُسْرَى‏.‏ فَقُلْتُ إِنَّكَ تَفْعَلُ ذَلِكَ‏.‏ فَقَالَ إِنَّ رِجْلَيَّ لا تَحْمِلاَنِي

অযু ছাড়া কি আযান দেওয়া যাবে ? শাইখ গুলাম মুস্তফা যহীর আমানপুরী (হাফিঃ)

Man Giving Azaan

ফাতওয়া আমানপুরী ২৫২ নঃ কিস্তি । শাইখ গুলাম মুস্তফা যহীর আমানপুরী (হাফিঃ)]

প্রশ্নঃ অযু ছাড়া আযান দেওয়া যাবে কি?

উত্তরঃ আযানের জন্য অযু শর্ত নয় । অযু ছাড়া আযান দেওয়া যাবে । কিন্তু উত্তম হচ্ছে অযু করে আযান দেওয়া । যখন কুরআনের মৌখিক তেলাওয়াত অযু ছাড়া করা যায় তো আযান তো অবশ্যই দেওয়া যাবে ।

কাতাদাহ বিন দী-আমাহ (রঃ) এর ব্যপ্যারে বর্ণিত আছে

إِنَّهُ كَانَ لَا يَرَى بَأْسًا أَنْ يُؤَذِّنَ الرَّجُلُ وَهُوَ عَلَى غَيْرِ وُضُوءِ

তিনি (রঃ) অযু ছাড়া আযান দেওয়াতে কোন সমস্য মনে করতেন না (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা ১/২১০ সানাদ সহীহ)

ফিকহুল হাদিস সাহু সেজদার অধ্যায়

ইমরান আয়্যুব লাহোরি (হাফি) এর লিখিত ফিকহুল হাদিসের অনুবাদ

আভিধানিক অর্থ –

سهو ভুলে যাওয়া বা কোন বিষয়ে অমনোযোগী হওয়া বা অন্য দিকে মন চলে যাওয়া অর্থে ব্যবহিত হয় ।

ইবনে হাজার (রঃ) বলেন – سهو কোন বিষয়ে অমনোযোগী হওয়া এবং অন্য মনস্ক হয়ে যাওয়া কে বলা হয় , এবং কেহ কেহ  سهو আর نسيان এর মধ্যে পার্থক্য করেছেন  যা কোন গুরুত্ব রাখে না ।

আল্লামা আঈনী (রঃ) বলেন – উভয়ের মধ্যে সুনির্দিষ্ট পার্থক্য আছে আর তাহলো – سهو তে মানুষের চেতনা সম্পুরনভাবে হারিয়ে যায় কিন্তু نسيان এ কিছু চেতনা অবশিষ্ট থাকে ।

জাল বইয়ে ঈদে মিল্লাদুন্নবীর জাল হাদিস । ইবনে হাজার হাইতামী (রঃ)। আন-নি’মাতুল কুবরা

ঈদে মিলাদুন্নবী এর বৈধতা প্রমান করার জন্য বর্তমানে অনেকেই ইবনে হাজার হাইছামী (রঃ) এর নামে রচিত একটি জাল বইয়ের রেফারেন্স দেন । বইটি এবং যা তার মধ্যে রয়েছে সবই জাল ।

বইটির নাম النعمة الكبرى على العالم في مولد سيد ولد آدم

হাইছামী (রঃ) এর নামে জালকৃত বই এবং বইয়ের জাল হাদিসগুলোর বিষয়ে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ) তার ‘হাদিসের নামে জালিয়াতি1 বইয়ে লিখেন , , –

হিজরী দশম শতকের প্রসিদ্ধ আলিম ইবন হাজার হাইতামী মাক্কী (৮৯৯-৯৭৪/১৪৯৪-১৫৬৬ হি)-এর নামে তুরস্কের মাকতাবাতুল হাকীকাহ নামক একটি প্রকাশনা সংস্থা গত ১৯৯৩ খৃ (১৪১৪ হি) ‘‘আন-নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়িদি ওয়ালাদি আদাম’’ (বিশ্বের উপর শ্রেষ্ঠ নিয়ামত আদম সন্তানদের নেতার জন্মের মধ্যে) নামে একটি বই প্রকাশ করেছে। এ বইটির মধ্যে মীলাদের পক্ষে সাহাবীগণের নামে অনেকগুলো সনদ বিহীন জাল হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে। এ জাল বইটির প্রথম অধ্যায় নিম্নরূপ:

বিসমিল্লাহ এবং তাসমিয়াহ । পার্থক্য ও ব্যবহার ।

بسم اللہ الرّحمٰن الرّحیم

আল্লাহ তাআ’লা বলেন - 

تَبَـٰرَكَ ٱسْمُ رَبِّكَ ذِى ٱلْجَلَـٰلِ وَٱلْإِكْرَامِ

কত বরকতময় আপনার রবের নাম যিনি মহিমাময় ও মহানুভব (আর রাহমান ৭৮)

আবুল মালীহ (রহঃ) হতে এক ব্যক্তির সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জন্তুযানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে বসা ছিলাম। হঠাৎ তাঁর সাওয়ারী হোঁচট খেলে আমি বললাম, শয়তান ধ্বংস হয়েছে। তিনি বললেন, একথা বলো না যে, শয়তান ধ্বংস হয়েছে। কেননা তুমি একথা বললে সে অহংকারে ঘরের মতো বড় আকৃতির হয়ে যাবে এবং সে বলবে, আমার ক্ষমতায় হয়েছে। অতএব বলো, আল্লাহর নামে। যখন তুমি ’আল্লাহর নামে’ বলবে তখন শয়তান হ্রাসপ্রাপ্ত হয়ে মাছির মত হয়ে যাবে (আবু দাউদ ৪৯৮২)