প্রশ্ন: যদি ইমাম তার ডান দিকে সালাম দেন এবং মুছল্লীরা তার অনুসরণ করেন, এরপর তিনি বাম দিকে সালাম দেন, তাহলে কি মুছল্লীদেরও তা অনুসরণ করা উচিত?
উত্তর: এই প্রশ্নটি মূলত জানতে চাচ্ছে যে, ইমামের প্রথম সালামের পরই কি মুছল্লীদের সালাম দিতে হবে, নাকি দ্বিতীয় সালামের পর দিতে হবে?
উত্তর হলো: এটি করা বৈধ এবং এতে কোনো ক্ষতি নেই, তবে সুন্নাহ ও সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো ইমামের দ্বিতীয় সালাম পর্যন্ত অপেক্ষা করা। ইমামের প্রথম সালামের পর দ্রুত সালাম না দিয়ে, দ্বিতীয় সালামের জন্য অপেক্ষা করাই উত্তম ও সুন্নাহ অনুসারে সঠিক। হাদিসসমূহের ভাষ্যমতে, এটি পরিপূর্ণ অনুসরণের জন্য আদর্শ পদ্ধতি।
তবে, যদি কেউ প্রথম সালামের পরই সালাম দেয় এবং দ্বিতীয় সালামের পর আবার দেয়, তাহলে তার নামাজ শুদ্ধ হবে এবং এতে কোনো গুনাহ নেই, তবে সে উত্তম ও পূর্ণাঙ্গ অনুসরণের সুযোগ হারিয়েছে।
সঠিক পদ্ধতি হলো: ধৈর্য ধারণ করা এবং ইমামের দ্বিতীয় সালাম পর্যন্ত অপেক্ষা করা। কারণ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: “যখন ইমাম তাকবির দেয়, তোমরা তাকবির দাও, যখন সে রুকু করে, তোমরা রুকু করো; তোমরা তার আগে রুকু করো না।” সুতরাং, সর্বোত্তম হলো ইমামের দ্বিতীয় সালামের পর সালাম দেয়া, এটি সুন্নাহর সাথে সবচেয়ে বেশি মিল রয়েছে।
প্রশ্ন:
সহীহ বুখারির একটি হাদিসে উল্লেখ আছে যে, যদি কেউ ইমামের প্রথম সালামের পরই সালাম দেয়, তাহলে কি তা শুদ্ধ হবে এবং তার নামাজ বৈধ হবে?
উত্তর:
এটি একটি আলেমদের মধ্যে মতভেদপূর্ণ বিষয়। বেশিরভাগ আলেম বলেন যে, প্রথম সালামই যথেষ্ট, যদিও দ্বিতীয় সালাম সুন্নাহ এবং তা না দিলেও নামাজ শুদ্ধ হবে। তবে, কিছু আলেমের মতে, দুইটি সালাম দেওয়া আবশ্যক, এবং নামাজের সমাপ্তি দ্বিতীয় সালাম ছাড়া হয় না। যদি প্রথম ও দ্বিতীয় সালামের মাঝে কোনো কারণে নামাজ ভঙ্গ হয়, তাহলে নামাজ পুনরায় পড়তে হবে। এটি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মত যে, উভয় সালামই আবশ্যক এবং নামাজের একটি স্তম্ভ হিসেবে তা সংরক্ষণ করা উচিত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: “আমাকে যেমন নামাজ পড়তে দেখেছ, তেমন নামাজ পড়ো।”
আল্লাহ সকলকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন এবং আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর পরিবার ও সাহাবিদের প্রতি দোয়া ও সালাম বর্ষিত হোক।