আমাদের দেশে "ওঝা/খনকারি/কবিরাজি" খুব ভাল একটা বিজনেস। বেশীরভাগ সময়েই এখানে পুঁজি বলতে শরিষার তেল, মোমবাতি, লাল কলম আর কাগজ লাগে। আর হ্যাঁ, নিজের ঈমানটাও এর সাথে বিনিয়োগ করতে হয়। তারা যেমন নিজের ঈমান বিক্রি করেন অর্থের লোভে, তেমনি তার কাছে সরল মনে চিকিৎসার জন্য আসা মানুষদেরও ঈমান হরণ করেন।
"কালো যাদু এবং ক্ষতিকর যাদুকরের বিরুদ্ধে তলোয়ার" বইয়তে শায়েখ ওয়াহেদ আব্দুস সালাম বালি যাদুকরদের কিছু আলামত উল্লেখ করেছেন। নিচে উল্লেখিত বৈশিষ্ট্যগুলো যদি একজন ব্যক্তির মধ্যে পাওয়া যায় যিনি কাউকে সুস্থ করার চেষ্টা করছেন এবং তাহলে নিশ্চিত হওয়া উচিত যে এই ব্যক্তি একজন জাদুকর।
১. যাদুকর অসুস্থ ব্যক্তির নাম এবং মায়ের নাম জিজ্ঞাসা করে।
২. যাদুকর অসুস্থ ব্যক্তির কিছু জামাকাপড় দেয়ার জন্য অনুরোধ করে, যেমন শার্ট, টুপি বা রুমাল।
৩. কখনও কখনও যাদুকর "বিসমিল্লাহ (আল্লাহর নামে শুরু)" পাঠ না করে একটি পশু কোরবানি করার অনুরোধ করে। তারপর সে পশুর রক্ত রোগীর শরীরে ঘষে এবং বাকিটা অনাবাদি জমিতে ফেলে দেয়।
৪. জাদুকর মন্ত্র পাঠ করেন এবং তাবিজ ওলেখেন।
৫. জাদুকর এমন মন্ত্র পাঠ এবং তাবিজ লেখেন করে যা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে না।
৭. যাদুকর রোগীকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লোকদের থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করতে এবং এমন একটি ঘরে তালাবদ্ধ করার নির্দেশ দেয় যেখানে সূর্যের আলো তার কাছে পৌঁছাতে পারে না।
৯. যাদুকর রোগীকে কিছু জিনিস দেয় যা তাকে মাটিতে পুঁতে দিতে হবে।
১১. সে বিড়বিড় করে বা অন্য ভাষায় জপ করতে পারে যা কেউ বোঝে না।
১২. যাদুকর মাঝে মাঝে রোগীকে তার নাম, তার শহরের নাম এবং তার দর্শনের কারণ বলে দেয়, এসবকিছু সে তাকে দেখার সাথে সাথেই বলে দেয়।১৩. যাদুকর রোগীকে কাগজের টুকরো বা একটি প্লেট দেয় যাতে কিছু অক্ষর লেখা থাকে এবং রোগীকে তা পানিতে মিশিয়ে পান করতে হয়।
যদি আপনি কোন ব্যক্তির মধ্যে এই লক্ষণগুলির মধ্যে একটি চিহ্ন দেখতে পান এবং আপনি নিশ্চিত হন যে তিনি একজন যাদুকর তাহলে তার কাছে যাবেন না। অন্যথায় আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উক্তিটি আপনার জন্য প্রযোজ্য হবে:
"যে ব্যক্তি কোন জ্যোতিষির কাছে গেল এবং তাকে যা বলা হয়েছে তাতে বিশ্বাস করল, সে মুহাম্মাদ স: এর প্রতি অবতীর্ণ ধর্মের প্রতি অবিশ্বাস করল"। (সহীহ আল-জামী ৫৯৩৯)
(মূল অনুবাদ: আবু হিব্বান, আবু খুজায়মা আনসারি)