আমি শিয়া নই যারা সাহাবাদের গালি দেয়।
নই নাসিবি, যারা মুহাম্মাদের (সাঃ) পরিবারকে অপছন্দ করে।
আমি সুফি নই যে দরগার চারপাশে তাওয়াফ করি,
নই সে ব্যক্তি যে কবরকে মসজিদ বানায়।
আমি ইহুদি নই, নই রাফিদি,
কারণ রাফিদির প্রকৃত স্বভাব এক প্রকার ইহুদির মতো।
আমি তাকফিরি নই, নই চরমপন্থী,
যে ঈমানদারকে মুরতাদ বা নাস্তিক মনে করে।
আমি ইখওয়ানি নই, যে ফিতনা সৃষ্টি করে,
নিজ হাতে মুসলমানদের ধ্বংস দেখে আনন্দ পায়।
আমি বিদআতি নই, যে নিজের খেয়াল মতো চলে,
পথভ্রষ্টদের মতো বিভ্রান্ত পথ অনুসরণ করে।
আমি হিজবি (দলপন্থী) নই, যে আমার জাতিকে বিভক্ত করে,
আমি বরং সেই দলগুলোর বিরুদ্ধে, যারা মানুষকে পথভ্রষ্ট ও আক্রমণ করে।
আমি জাহমি নই, যে আল্লাহর গুণাবলী অস্বীকার করে
নই সে ব্যক্তি, যে ধর্মীয় ছদ্মবেশে বিভ্রান্তি ছড়ায়।
আমি হাদ্দাদি নই, নই ছলনাময় কট্টর সমালোচক,
আমি আলেমদের প্রতি অবজ্ঞাপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ করি না।
আমি মুমায়্যি নই, যারা সালাফদের পথকে নরম করার চেষ্টা করে,
আমি সেই মহান আলেমদের অনুসরণ করি, যারা জ্ঞান ও প্রজ্ঞার সঙ্গে পথ দেখান।
সঠিক পথে, আমি আমার দিকনির্দেশনা খুঁজি।
আমি তাবলীগি নই, যারা বিদআতির দাওয়াত প্রচার করে এবং অজ্ঞতা দিয়ে শুরু করে।
আমি ইবাদি নই, যারা কুরআনের শব্দকে বিকৃতভাবে ব্যাখ্যা করে,
বা আল্লাহর কিতাবকে তাঁর সৃষ্টির মতো মনে করে, যেমন আমার হাত একটি সৃষ্টি।
আমি যুক্তিবাদী নই, যে আল্লাহর আইনকে প্রত্যাখ্যান করে,
আমি বিশুদ্ধ হাদিসকেও অস্বীকার করি না।
আমি সেক্যুলার নই, নই নাস্তিক,
নই বিদ্বেষপরায়ণ ও ঘৃণ্য উদারপন্থী।
আমি বিপ্লবী নই,
যে আগুন জ্বালিয়ে শাসকদের ক্ষমতার আসনে বসতে চায়।
আমি উগ্র নই, নই গোঁড়ামিতে নিমজ্জিত,
আমি সেই বিদআতিদের বিরুদ্ধে, যারা শুধু হিংসা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।
হে আমার ভাই, শোনো আমার মানহাজ (পদ্ধতি),
আমার হাত ধরো, চল আমরা একসঙ্গে চলি।
আমি সালাফি, আমি নবীর পথ অনুসরণ করি,
আমি মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর সাহাবাদের অনুসারী।
তাদের মধ্যে রয়েছেন আবু বকর ও উমর,
উসমান, যিনি আলো ছড়িয়েছেন, এবং মহান আলী।
সাহাবারা, যারা নবীর সাথে ছিলেন,
এবং যারা আল-বাকী কবরস্থানে শায়িত আছেন।
এবং তাবেয়ীন, যেমন ইমাম মালিক,
শাফি’ই, আবু হানিফা ও আহমদ ইবনে হাম্বল।
ইবনে মুসায়্যিব, বুখারি, মুসলিম,
তিরমিজি, নাফি’, ও মুসাদ্দাদ।
সুফিয়ান ও ইবনে উয়াইনা,
এবং ইবনে তাইমিয়াহ, যিনি ছিলেন একজন ইমাম,
এক তীক্ষ্ণ তরবারির মতো।
তারা সবাই পথ প্রদর্শক,
তারা যেন দিকনির্দেশক নক্ষত্র, যারা পথ দেখায়।
আমাদের যুগেও উজ্জ্বল আলেমরা আছেন,
যারা পথপ্রদর্শক ও সংস্কারক।
যেমন তাওহিদের মহান সংস্কারক,
মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব,
যিনি তাওহিদের পুনর্জাগরণ ঘটিয়েছিলেন,
কি মহান মুজাহিদ ছিলেন তিনি!
এবং ইবনে বাজ, মুকবিল, যারা মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করেছেন,
হাদিসের বিশারদ, জর্ডানের নাসিরুদ্দিন আলবানী, এক মহান আলেম।
এছাড়াও উনাইজাহর মহান ফকীহ,
যিনি ছিলেন সজ্জন, ইবনে উথাইমিন।
এবং শেখ আল-জামি, জায়েদ আল-মাদখালি,
এবং অন্য মাদখালি (রাবী আল-মাদখালি)।
আল-ফাওজান, যিনি তার প্রজ্ঞার আলো ছড়িয়েছেন,
এবং আল-হায়েদ, যারা সবাই মহান নেতা।
এছাড়াও, হুদায়দার মরহুম শেখ আল-ওয়াসাবি,
যার ঘর তাঁর নিষ্ঠার সাক্ষ্য দেয়।
এবং রাসলানের সেই সিংহ
যিনি আল্লাহর একত্ববাদের দাওয়াত দিয়েছেন।
আরও অনেক আলেম রয়েছেন আমাদের
শাম, মাঘরেব ও ইয়েমেনে।
ইরাক ও মিশর, তাদের জ্ঞান বিশাল,
যারা আহমদের পথ অনুসরণ করেছেন।
এবং যারা পূর্ব-পশ্চিমে ছড়িয়ে আছেন,
এবং যারা মুহাম্মাদের (সাঃ) পথ অনুসরণ করেন।
হে আল্লাহ, আমাদের ঐক্য দান করুন ও আমাদের হৃদয়কে সঠিক পথে পরিচালিত করুন,
এবং আমাদের জীবনের সমাপ্তি সিজদার অবস্থায় করুন।
হে আল্লাহ, আমাদের নেতাদের ও আমাদের যুবসমাজকে সংশোধন করুন,
আপনি ন্যায় ও কল্যাণের দাতা।
হে আমাদের প্রভু, আপনার অনুগ্রহেই আমরা পথ পাই,
হে আমার প্রভু, আমাদের পথকে নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) ও তাঁর সাহাবাদের পথের মতো করে দিন।
হে আল্লাহ, আমাদের উপকারী জ্ঞান দান করুন।
এবং আপনার বান্দাদের এমনভাবে পরিচালিত করুন
যেন তাদের অন্তর মসজিদে লেগে থাকে।
পরিশেষে, নবী (সাঃ)-এর প্রতি সালাম ও দরুদ, তাঁর পরিবার ও সাহাবাদের প্রতি শান্তি ও কল্যাণ বর্ষিত হোক।
উপরের কবিতাটির মূল আরবী। শুনতে এখানে ক্লিক করুন । এর কবিকে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন।